স্টাফ রিপোর্টার: বগুড়ার সোনাতলায় ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) কতৃক মনোনিত ডিলারের বিক্রয় কেন্দ্রে গিয়ে পণ্য মিলছে না ফ্যামিলি স্মার্ট কার্ডধারী গ্রাহকদের। টিসিবি পণ্য বিক্রয় কেন্দ্রে মূল ডিলারও প্রায়ই থাকেন অনুপস্থিত। পণ্য না দিয়েই শত শত গ্রাহকদের বিদায় করে দিচ্ছেন বিক্রয় কেন্দ্রে থাকা ডিলারের প্রতিনিধিরা।
ঘটনাটি ঘটেছে সোনাতলার বালুয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ আটকরিয়া গ্রামে অমুকের দোকানঘরে অবস্থিত মেসার্স নাদিরা ট্রেডার্স যার স্বত্বাধিকারী মোছা. নাদিরা বেগম এর বিক্রয় কেন্দ্রে ৩০জুন সোমবার ।
জানা যায়, উপজেলার বালুয়া ইউনিয়নে টিসিবির ডিলার মোছা. নাদিরা বেগমের বিক্রয় কেন্দ্রে গ্রাহকরা স্মার্ট কার্ড নিয়ে পণ্য নিতেগেলে ডিলারের প্রতিনিধিরা পণ্য না দিয়েই তাদেরকে ফেরত দিচ্ছেন। ফলে হতাশ হয়ে খালিহাতে ফেরত যাচ্ছেন শত শত নিম্ন আয়ের সুবিধাভোগী মানুষরা।
টিসিবির পণ্য নিতে আসা মো. রবিউল ইসলাম খোকন (যার কার্ড নং ১০৯৫১৪২০০০০৪৬) অভিযোগ করে বলেন, স্মার্ট কার্ড দিয়ে অনেকবার পণ্য পেয়েছি, কিন্তু এবার আমাকে পণ্য দিচ্ছে না। ডিলারের প্রতিনিধিরা বলছেন পণ্য শেষ, দেয়া যাবে না। আমি গরীব মানুষ সরকারের দেওয়া পণ্য থেকে এবার বঞ্চিত হলাম। এর একটা বিহিত হওয়া প্রয়োজন। একই কথা বলছেন, মোছা. নাজমা খাতুন,মর্জিনা বেগম,মাহবুবুর রহমানসহ প্রায় শতাধিক সুবিধাভোগী।
এ ব্যাপারে ডিলারের প্রতিনিধি মো.হাসান বলেন,আমরা যা বরাদ্দ পেয়েছি,তা বিতরণ করেছি। এখন গ্রাহক আসলেও পণ্য দিতে পারবো না। যেসব স্মার্ট কার্ডধারী সুবিধাভোগীকে পণ্য না দিয়ে ফেরত দেওয়া হচ্ছে তাদের পণ্য কোথায় গেল জিজ্ঞেস করলে, তিনি জানান এ বিষয়টি ডিলার ভালো বলতে পারবেন। ডিলার নাদিরা বেগম কি আজ বিক্রয়কেন্দ্রে উপস্থিত ছিলেন? তার উত্তরে তিনি কথা বলতে রাজি হননি।
এ বিষয়ে ডিলার নাদিরা বেগমের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি জানার,অসুস্থতার জন্য আজ তিনি টিসিবি পণ্য বিক্রয় কেন্দ্রে আসতে পারেননি। স্মার্ট কার্ডধারী যে সুবিধাভোগিরা টিসিবির পণ্য পাননি, তাদের ব্যাপার জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, আমি এখন গাড়ির উপরে আছি,নেমে আপনার সাথে কথা বলব। এরপর তিনি আর কোন যোগাযোগ করেননি।
এ ব্যাপারে বালুয়া ইউনিয়ন প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক মন্ডল বলেন, অনেক ভুক্তভোগী ফোন করে আমাকে পণ্য না পাওয়ার কথা বলেছে। কার্ডধারি বাকি সুবিধাভোগীদের পণ্য কোথায় গেল? এ প্রশ্ন আমারও। বিষয়টি আমি যাচাই করে দেখবো।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্বীকৃতি প্রামাণিকের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে, তাকে পাওয়া যায়নি।
Leave a Reply