1. sonatalasangbad@gmail.com : সোনাতলা সংবাদ :
বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:০৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :

গাবতলীতে বন্ধ থাকা ওএমএস চালুর দাবি শ্রমজীবী মানুষের

  • বুধবার, ৯ জুলাই, ২০২৫
  • ৩৬

গাবতলী (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়ার গাবতলী পৌরসভায় সকল ওএমএস বন্ধ থাকায় স্থানীয় শ্রমজীবী ও নিম্নআয়ের মানুষের মধ্যে চরম হতাশা বিরাজ করছে। এলাকাবাসীর দাবি, এই বিশেষ ওএমএস কেন্দ্রগুলোকে সারাবছর ধরে সাধারণ ওএমএস কেন্দ্র হিসেবে চালু করার পাশাপাশি আটা বিক্রির ব্যবস্থাও যুক্ত করতে হবে। তাহলে অভাবী মানুষগুলো উপকৃত হবে। জানা গেছে, গাবতলী পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে মোট ৬টি বিশেষ ওএমএস কেন্দ্র রয়েছে।

বর্তমানে ঐ ওএমএস কেন্দ্রগুলো বন্ধ থাকায় সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়েছেন দিনমজুর, রিকশাচালক, নির্মাণ শ্রমিক ও হকারসহ নানান খেটে খাওয়া মানুষ। যারা এখন বাজারের চড়া দামে চাল কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। গাবতলীর সোন্দাবাড়ী ভবের বাজারের সিএনজি চালক আব্দুল খালেক বলেন, দ্রব্য মূল্যের এই উর্ধগতির বাজারে ওএমএস কেন্দ্রগুলো বন্ধ থাকায় আমরা আর স্বল্পমূল্যের চাল কিনতে পারছি না। স্থানীয় রিক্সাচালক গনি মিয়া বলেন, “আগে প্রতি সপ্তাহে ৫ দিন সরকারি নির্ধারিত মূল্যে চাল কিনতাম। এখন সেই সুবিধা বন্ধ হয়ে গেছে। আবার নতুন করে যদি আটা যোগ হয়, তাহলে আরও ভালো হতো।”একই রকম কথা বলেন গৃহকর্মী চামেলি বেগম। তিনি বলেন, “চাল-আটা দুটোই এখন বাজারে অনেক দাম। সরকার যদি আগের ওএমএস আবার চালু করে, আর সাথে আটা দেয়, তাহলে আমরা গরিব মানুষরা বাঁচতে পারব।”

এলাকাবাসীর দাবি, যেহেতু এলাকাটি শ্রমঘন ও নিন্মআয়ের মানুষের বসবাসপূর্ণ, তাই সারা বছরজুড়ে ৬টি স্থায়ী ওএমএস কেন্দ্র চালু রাখা উচিত। যেখানে সপ্তাহে অন্তত ৫ দিন চাল ও আটা দুটোই সুলভ মূল্যে বিক্রি করলে ভালো হতো। যেহেতু বগুড়া, শিবগঞ্জ ও কাহালুতে সারাবছর এই ওএমএস কেন্দ্র চালু রয়েছে। সেহেতু গাবতলীর নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য সুলভ মূল্যে চালু আটা বিক্রয় করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজর প্রয়োজন বলে মনে করেন উপজেলবাসী।

এ ব্যাপারে গাবতলী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক নতুন বলেন, বিগত ১৬বছরে শেখ হাসিনার শাসনামলে গাবতলীবাসী সব দিক দিয়েই খুব অবহেলার শিকার হয়েছেন। সরকারি বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্ছিত হয়েছেন। সে কারণে বিশেষ ওএমএস কেন্দ্রগুলোকে সারাবছর ধরে সাধারণ ওএমএস কেন্দ্র হিসেবে চালু করে চালের পাশাপাশি আটা বিক্রি করার দাবিটা যথেষ্ট যৌক্তিক। তাই আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবী, তারা যেন এই পুরাতন ওএমএস কেন্দ্রগুলোকে পুনরায় চালু করে সাধারণ ওএমএস কেন্দ্র হিসেবে রূপান্তর করেন, যেখানে চালের পাশাপাশি আটার বিক্রি করার ব্যবস্থাও চলমান রাখেন।

এ ব্যাপারে গাবতলী উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মোহাম্মাদ আবু সম্রাট খান বলেন, সরকারি নির্দেশনায় বিশেষ ওএমএস কেন্দ্রগুলো বন্ধ রয়েছে। ওই ওএমএস কেন্দ্রগুলো পুনরায় সাধারণ ওএমএস হিসেবে সারাবছর চালু করে চাল ও আটা চালু করলে নিম্ন আয়ের মানুষগুলো উপকৃত হতো।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

নিউজে সর্বশেষ

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট