মুহাম্মাদ আবু মুসাঃ বগুড়ার গাবতলীতে ধর্ষণ মামলায় টিএমএসএস এর মাঠ কর্মী সুজন মিয়া (২৭)কে বৃহস্পতিবার থানা পুলিশ গ্রেফতার করেছে। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত সুজন নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার আয়েশ গ্রামের মোতাবেল হোসেনের ছেলে। ১৪ আগস্ট/২৫ বৃহস্পতিবার রাতে বগুড়া সদর উপজেলার ক্ষিদ্রধামা গ্রামের প্রবাসী জনৈক রুহুল আমিন এর স্ত্রী ও গাবতলী উপজেলার জয়ভোগা গ্রামের জনৈক ব্যক্তির কন্যা ভিকটিম রুমি আকতার বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার বিবারণে জানা যায়, ঋণের কিস্তির কারনে ২ জুন/২৪ তারিখ থেকে সুজন মিয়ার সাথে পরিচয় হয়। এর পর ভিকটিমের মোবাইল নাম্বার নিয়ে টিএমএসএস গাবতলী শাখায় কর্মরত মাঠ কর্মী সুজন মিয়া তার সাথে রাতে কথা বলতো। স্বামী প্রবাসে থাকায় কিছুটা সুযোগ নেয় সুজন মিয়া।
পরে প্রেমের প্রস্তাব দেয়া হলে তা প্রত্যাখান করলেও পরে বিয়ের প্রলোভন দেয়। এ ছাড়া নানা অজুহাতে বিভিন্ন সময় অর্থ হাতিয়ে নেয় ধর্ষকারী সুজন। এর পর নানা কৌশলে বিভিন্ন সময় ভিকটিমকে ডেকে নিয়ে ঘোরাফেরা করতো।
এমনকি বিয়ের প্রলোভনে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে গিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে বলে মামলায় উল্লেখ রয়েছে। সর্বশেষ ৮ আগস্ট/২৫ শুক্রবার আনুমানিক দুপুর ১২টা হতে ২টার মধ্যে গাবতলীর জয়ভোগা ভাঙ্গনপাড়া প্রশিকার মোড় টিএমএসএস এর অফিসের একতলা বিশিষ্ঠ বিল্ডিং এর ধর্ষণকারী সুজন মিয়ার শয়ন কক্ষে ভিকটিমকে কৌশলে মোবাইল ফোনে ডেকে নেয়। ওই কক্ষে যাওয়ার সাথে সাথে তার মুখ চেপে ধরে পড়নের কাপড় চোপড় খুলে ঘরের মধ্যে বিছানায় নিয়ে ধর্ষণ করে বলে থানায় দায়েরকৃত মামলায় বর্ণনা দিয়েছে বাদী।
এ ব্যাপারে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সেরাজুল হক এর সাথে কথা বললে তিনি এ সংক্রান্ত ধর্ষণ মামলা দায়ের এবং ধর্ষক সুজন মিয়াকে গ্রেফতার করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া আসামী টিএমএসএস গাবতলী শাখায় মাঠ কর্মী হিসেবে কর্মরত সুজন মিয়াকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে এবং ধর্ষিতাকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি (ওসি) জানিয়েছেন।
Leave a Reply