1. sonatalasangbad@gmail.com : সোনাতলা সংবাদ :
মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:০৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :

সোনাতলায় পলি নেট পদ্ধতিতে আগাম মরিচের চারা তৈরিতে ব্যস্ত কৃষকরা

  • শনিবার, ৩০ আগস্ট, ২০২৫
  • ২৪৯

সোনাতলা (বগুড়া) প্রতিনিধি : সোনাতলায় পলি নেট পদ্ধতিতে আগাম মরিচের চারা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। অর্থকরী ফসল মরিচ বপণে আগেভাগেই প্রস্তুতি নিচ্ছেন এই উপজেলার কৃষক।  কৃষকেরা বাড়ির উঠানে, উঁচু জায়গায়, বাড়ির ছাদে, ভিটে-বাগানে পলি নেট পদ্ধতিতে চারা উৎপাদন করছেন। বিশেষ করে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধসংলগ্ন পাকুল্লা ও তেকানীচুকাইনগর এলাকায় বাড়ি বাড়ি এই পদ্ধতিতে মরিচের চারা উৎপাদন হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর সোনাতলায় ১১ হাজার ৭৬০ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা গত বছর ছিল ৯ হাজার ২০ হেক্টর। গত বছরের তুলনায় চলতি বছর ২ হাজার ৭৪০ হেক্টর বেশি।

আজ শনিবার (৩০ আগস্ট) সরেজমিনে ওই উপজেলার পূর্ব তেকানী, মহেশপাড়া, খাবুলিয়া, জন্তিয়ার পাড়া, মহব্বতের পাড়া, খাটিয়ামারী, মির্জাপুর, সরোলিয়া, আমতলী এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে তিন শতাধিক কৃষক উঁচু জমিতে আগাম মরিচের পলি নেট পদ্ধতিতে বীজ বপণ করে চারা উৎপাদন করছেন। চরাঞ্চলের কৃষকেরা জানিয়েছেন, প্রতিবছর বন্যার ধকল কাটাতে বিশেষ করে চরাঞ্চলের কৃষকেরা আগেভাগেই মরিচ বপণের প্রস্তুতি শুরু করেন।

এটি একটি অর্থকরী ফসল। তাই এই ফসল উৎপাদনে প্রতি কৃষকের দৃষ্টি বেশি থাকে। খাটিয়ামারী চরের বাসিন্দা দুদু মিয়া বলেন, গত বছর তিনি ৬ বিঘা জমিতে মরিচের আগাম চারা উৎপাদন করে করে তিন লক্ষাধিক টাকা আয় করেছেন। এবারও তিনি একই পরিমাণ জমিতে মরিচ চাষ করবেন। জন্তিয়ার পাড়া এলাকার সাইদুর রহমান প্রামানিক বলেন, এবার তিনি ১১ বিঘা জমিতে মরিচ চাষের জন্য চারা তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সোহরাব হোসেন বলেন, এ উপজেলার কৃষকেরা ছনিক, বিজলী, কারেন্ট, হাইব্রিডসহ স্থানীয় বিভিন্ন জাতের মরিচ চাষের জন্য ইতিমধ্যেই চারা তৈরির কাজ শুরু করেছেন। সাধারণত বন্যার পরপরই নদীকূলীয় এলাকার কৃষকেরা চারা উৎপাদনে কাজ শুরু করে দেন। বীজ বপণের ২৫-৩৫ দিনের মধ্যে চারা লাগানোর উপযোগী হয়।

উপজেলার তিন শতাধিক স্থানে পলি নেট পদ্ধতির মাধ্যমে আগাম চারা উৎপাদন করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, এই পদ্ধতিতে উৎপাদিত চারা ১৫শ’ থেকে ২৫শ’ হেক্টর জমিতে চারা লাগানো সম্ভব হবে। আগাম চারা উৎপাদনের ফলে ফসলও খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে তোলা সম্ভব। তাই কৃষক এই পদ্ধতির প্রতি আকৃষ্ট।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

নিউজে সর্বশেষ

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট