সোনাতলা (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়া সোনাতলায় জোড় পূর্বক এক প্রতিবন্ধীর জমির গাছ কর্তন ও বসতবাড়ীতে হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার বালুয়া ইউনিয়নের দক্ষিন আটকরিয়া গ্রামে এ ঘটনারটি ঘটে।
জানাযায়, একই গ্রামের মৃত আবুল কালাম আজাদ বেপারীর ছেলে মোহাম্মাদ আলী প্রিন্স ও তার স্ত্রী জাকিয়া সুলতানা মিলে গত ০৪ অক্টোবর সকালে জোড়পূর্বক একই বসবাসরত মৃত জিন্নাতুল ফেরদৌসের ছেলে (জেষ্ঠাত ভাই) প্রতিবন্ধী আল-আমিনের জায়গার ভাগ নেওয়ার দাবী তুলে তার নামে থাকা ভিটা জমি হতে ইউকেলেকটার ও মেহগনির গাছ কর্তন করে। তার এমন কান্ড স্থানীয়রা এগিয়ে এলে বিভিন্ন ধরণের হুমকি প্রদার করে বলে জানাযায়। এদিকে ওই প্রতিবন্ধীর চাচা মোঃ জিয়াউল হক শান্টু বাধাঁ দিলে তার সাথে মারমূখী আচারণ এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এঘটনায় প্রতিবন্ধীর চাচা মোঃ জিয়াউল হক সোনাতলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। বাদী জিয়াউল হক শান্টু জানায়, আমি আল-আমিনের বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই নিজ ছেলের মত লালন-পালন করে আসছি। কিন্তু আমার আরেক ভাতিজা মোহাম্মাদ আলী প্রিন্স জোড় করেই জমির ভাগ চায়, যা সম্পূর্ণ আইন বিরোধী। গেল ০৪ তারিখে আমার ওই ভাতিজা আল-আমিনের বাবার পৈত্রিক সম্পত্তি ভিটা জমি হতে গাছ কর্তন করে।
আমি বাধাঁ দিলে মার মূখী আচারণ করে। স্থানীয়দের সহায়তায় কয়েকটি কাটা গাছের ডুম আমার বাড়িতে নিয়ে আছি। এই ডুম নেওয়ার জন্য আমার বাড়ির সীমানা প্রচীর ভাংচুর করে। আমি আইনি সহায়তা চাই। এদিকে গত শুক্রবার দুপুরে প্রকাশ্যে বিবাদী মোহাম্মাদ আলী প্রিন্স ওই প্রতিবন্ধীর বসবাসরত বাড়ীর গেটের সিমানা প্রাচীর ভাঙচুর করে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগলজ ও প্রাণ নাশের হুমকি দিতে থাকে। এঘটনায় একই এলাকার বাসিন্দা মোঃ বেলাল জানান, আল-আমিন সেই ছোট থেকে তার চাচা জিয়াউল হক শান্টুর পরিবারের সাথে খেয়ে পরে আসছে। ফলে তার বাবার পৈত্রিক সম্পত্তিতে চাচা ভাতিজা মিলেই দীর্ঘ দিন থেকেই চাষাবাদ ভোগদখল করে আসছে। হঠাত করেই এতদিন পর নিজের অংশ আছে মূলে দাবী করে ওর জমির গাছ কর্তন করে। সোনাতলা থানার অফিসার ইনচার্জ সৈকত জানান, অভিযোগ পেয়েছি আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন ।
Leave a Reply