মুনসুর রহমান তানসেন কাহালু থেকেঃ ২৬ লাখ ৭৯ হাজার ৩৩৩ বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকায় নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানী লিঃ (নেসকো) দুপচাঁচিয়া অফিসের লোকজন বগুড়ার কাহালু পৌরসভার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেলে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার পর পৌরসভার প্রায় সকল কাজকর্ম বন্ধ হয়ে গেছে।
বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার পর পৌর মেয়র, কাউন্সিলর ও পৌরসভার কর্মকর্তা/কর্মচারী অনেকটা হতাশার মধ্যে পড়েছেন। পৌরসভার সহকারি প্রকৌশলী মোঃ একলাসের তথ্যমতে ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত পৌরসভার বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের পরিমান ছিলো ৩৮ লাখ ৯ হাজার ৩৯৯ টাকা। ওই সময় থেকে নিয়মিত বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করা হচ্ছে। নেসকো পত্র দিয়ে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের ত্যাগাদা দেওয়ার পর থেকে ধীরে ধীরে বকেয়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করা হচ্ছে। ৩৮ লাখ ৯ হাজার ৩৯৯ টাকা থেকে কমিয়ে বর্তমানে বকেয়া বিলের পরিমান দাঁড়িয়েছে ২৬ লাখ ৭৯ হাজার ৩৩৩ টাকা।
কাহালু পৌর মেয়র আলহাজ্ব আব্দুল মান্নান জানান, আমি গত বছরের ৫ মার্চে দায়িত্ব গ্রহনের পর থেকে নিয়মিত বিদ্যুৎ বিল, পৌরসভার কর্মকর্তা/কর্মচারী ও কাউন্সিলরদের বেতন-ভাতাদি পরিশোধ করে আসছি। এছাড়াও আগের মেয়রের আমলে কর্মকর্তা/কর্মচারীদের বকেয়া বেতন ও বকেয়া বিদ্যুৎ বিল ধীরে ধীরে পরিশোধ করে আসছি। পৌরসভার ঋনের বোঝা নিয়ে আমি দায়িত্ব গ্রহন করার পর থেকে আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছি ঋন পরিশোধের জন্য। বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন যখন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে আসে তখন তাদেরকে অনুরোধ করেছি আগামীকাল ২ লাখ টাকা এবং এক মাসের মধ্যে ২০ লাখ টাকা পরিশোধ করবো। তারপরেও পৌরসভার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার পর সরকারি গুরুত্বপূর্ণ কাজকর্মসহ প্রায় সব কাজই বন্ধ হয়ে গেল।
নেসকো’র দুপাচাঁচিয়া অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, বকেয়া বিদ্যুৎ বিল আদায়ে কাহালু পৌর পক্ষকে ৪ টি ত্যাগাদাপত্র দেওয়া হয়েছে। ত্যাগাদাপত্র দেওয়ার পরও বকেয়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না করায় সরকারি বিধি মোতাবেকই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, পৌরসভার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় পৌরসভা কার্যালয় ও পৌর এলাকার রাস্তাগুলোতে জ্বলবেনা বৈদ্যুতিক লাইট। অনেকে মন্তব্য করেছেন পৌরসভায় বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকলে পৌর নাগরিকরা নানামুখী সমস্যায় পড়তে পারেন।
Leave a Reply