মুনসুর রহমান তানসেন কাহালু (বগুড়া) থেকেঃ বগুড়ার কাহালুতে সব রকমের সবজি সস্তা দামে বিক্রি হলেও মাছের বাজার খুবই চড়া। সবজির বাজারে নবান্ন উৎসবের প্রভাব না প্রভাব পড়েছে মাছের বাজারে । সব রকমের সবজির কেজিতে দাম কমেছে ১০ থেকে ২০ টাকা। আর মাছের মুল্য বেড়েছে কেজিতে ৪০ থেকে ৮০ টাকা।
গতকাল শনিবার কাহালু বাজারে গিয়ে লক্ষ্য করা গেছে বেগম প্রকারভেদে ২০ টাকা থেকে উর্ধে ৪০ টাকা, মুলা ২০ টাকা, সিম ৫০/৬০ টাকা, গাজর ৩০ টাকা, টমেটু ৪০ টাকা, ফুলকপি ২০/৩০ টাকা, পাতাকপি ৩০ টাকা, কাচা মরিচ ৩০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, করলা ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা জানালেন গত হাটের চেয়ে সব রকমের সবজির দাম কেজিতে ১০ টাকা থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে।
সবজি বিক্রেতা আঃ রহিম জানান, নবান্ন উৎসবে সবজির মুল্য কিছুটা বৃদ্ধি হয়। কিন্ত এবার নবান্ন উৎসবের কোন প্রভাব পড়েনি সবজি বাজারে। এদিকে পহেলা অগ্রহায়ণ নবান্ন উৎসবের দিন ধরা হলেও গত শুক্রবার অত্র উপজেলা বিভিন্ন গ্রামের ঘরে ঘরে ছিলো নবান্ন উৎসবের আমেজ। গতকাল শনিবারও মাছ বাজারে ছিলো নবান্ন উৎসবের প্রভাব।
নতুন ধানের নতুন চালের ভাত, সাথে মাছের তরকারি সবারই চাই। তাইতো মাছ বাজারে ক্রেতার কোন অভাব নেই। পড়েছে নব্বান্ন উৎসবের প্রভাব মাছ বাজারে। গত মঙ্গলবার হাটের চেয়ে গতকাল শনিবার কাহালু হাটে সব ধরনের মাছের দাম কেজিতে বেড়েছে ৪০ টাকা থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত। গত শুক্রবার ও শনিবার ছোট-বড় বিভিন্ন প্রকারের মাছ উঠেছে বাজারে। মাছের আমদানী অনেক বেশী হলেও দামে নেই কোন কমতি।
মাছ ব্যবসায়ী হালিম জানান, ২০ কেজি ওজনের ব্রিগহেড মাছ বিক্রি হয়েছে ৮০০ টাকা কেজি দরে। মাছ ব্যবসায়ী শাহেদ জানান, ১৪ কেজি ওজনের ব্রিগহেড মাছ বিক্রি হয়ে ৬৫০ টাকা কেজি দরে। সাইফুলসহ স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ীরা জানান, গত দুদিন ধরে মাছের বাজার একটু চড়া। পাঙ্গাস, সিলভর কার্প, রুই, কাতলা মৃগেল, শিং সহ সব ধরনের মাছের দাম গত হাটের কিছুটা বেশী। বড় ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ১৩ টাকা কেজি। আর ছোট ইলিশ নিচে সাড়ে ৫শ টাকা থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ীদের মতে নবান্ন উৎসবের কারনে মাছের বাজারে একটু প্রভাব পড়লেও কয়েকদিনের মধ্যে মাছের বাজার স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
Leave a Reply