গোলাম রব্বানী শিপন, মহাস্থান বগুড়াঃ বগুড়ার সদরের লাহিড়ীপাড়া ইউনিয়নের দিঘলকান্দি গ্রাম থেকে একটি কষ্টিপাথরের তৈরি প্রাচীনকালের প্রায় ১০০ কেজি ওজনের বিষ্ণু মূর্তি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার (৪ জানুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে মহাস্থানের অদূরে দিঘলকান্দি এলাকা থেকে মূর্তিটি উদ্ধার করা হয়। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে প্রত্নবস্তুটি মহাস্থান জাদুঘরের হেফাজতে রাখা হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, দিঘলকান্দি পশ্চিমপাড়া গ্রামের হেলাল উদ্দিন বুলু (৯০) ও একই গ্রামের জলিল উদ্দিনের পুত্র অটোচালক খোরশেদ আলম অরফে পুকরে শাহিন দুপুরে ঘাস কাটতে গিয়ে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের পাশে একটি সরু ব্রিজের নিচে বস্তায় মোড়ানো বস্তুটি দেখে প্রথমে আঁতকে ওঠে। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় প্রত্নবস্তু নিশ্চিত করে একটি ভ্যান যোগে তাদের বাড়িতে নেয়।
পরে তারা বিষয়টি লাহিড়ীপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জুলফিকার আবু নাসের ইঞ্জিনিয়ার আপেল মাহমুদকে জানালে তিনি তাৎক্ষনিক গ্রাম পুলিশকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে মূর্তিটি দেখভালের দায়িত্ব দেন৷ এরপর তিনি জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল করলে বগুড়ার সদর থানার উপপরিদর্শক (এস আই) শহিদুল ইসলাম ও শিবগঞ্জ থানার এসআই ব্রজেন চন্দ্র মাহাতো সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে এসে চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আপেল মাহমুদ এর সাথে পরামর্শ করে আইনি প্রক্রিয়া শেষে কোটি টাকা মূল্যের বিষ্ণু মূর্তি উদ্ধার করে সদর থানায় নিয়ে যায়। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন, প্রত্নতন্ত্র বিভাগ মহাস্থান জাদুঘরের কাস্টডিয়ান রাজিয়া সুলতানা। পরবর্তী মূর্তিটি বগুড়া সদর ও শিবগঞ্জ থানার সহযোগীতায় আইনি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করে মহাস্থান প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘরে হস্তান্তর করেন।
এদিকে ইউপি চেয়ারম্যান আপেল মাহমুদ সাংবাদিকদের জানান, তার ইউনিয়নের বৃদ্ধ হেলাল উদ্দিন বুলু ও শাহিন পুকরে কোটি টাকা মূল্যের প্রাচীন বস্তুটি পেয়েও সততার পরিচয় দিয়েছেন৷ তাই তিনি এ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবিলম্বে ২ ব্যক্তির পুরুষ্কারে ভূষিত করার দাবি জানান। স্থানীয়দের ধারণা পাচারকারী চক্র এটি পাচার করার জন্য মহাসড়কের পাশে লুকিয়ে রাখতে পারে।
উদ্ধার হওয়া বিষ্ণুমূর্তির খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে সেটি এক নজর দেখতে এলাকায় হাজার হাজার নারী পুরুষের ভিড় জমে।
Leave a Reply