সোনাতলা সংবাদ ডেস্কঃ বগুড়ার শিবগঞ্জে সাবেক ইউপি সদস্য নারগিছ আরা বেগমকে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ছেলের সঙ্গে বিরোধের জেরে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছেন তারা।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলো উপজেলার রায়নগর ইউনিয়নের মধ্যপাড়ার মুন্না মিয়া (২২) ও পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা খালেদ হাসান (২২)। তারা নিহত নারগিছের ছেলে আজিজুলের বন্ধু।আজ সোমবার দুপুরে বগুড়া জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুর রশিদ।তিনি জানান, রোববার বিকেলে নিজ বাড়ির শয়নকক্ষ থেকে সাবেক নারী ইউপি সদস্য নারগিছ আরা বেগমের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনার পর থেকেই পুলিশ তদন্তে নামে। নারগিছ আরা রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রায়নগর মধ্যপাড়ার নিজ বাড়িতে আসেন। এর কিছুক্ষণ পরেই মুন্না ওই বাড়িতে প্রবেশ করে ধারালো ছুরি দিয়ে নারগিছের গলায়, পিঠে ও মাথায় কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যান। ওই সময় বাড়ির সামনে পাহারায় ছিলেন খালেদ।তদন্তে নেমে স্থানীয়দের মাধ্যমে খালেদ ও মুন্নাকে ওই বাড়ির সামনে ঘোরাফেরার বিষয়টি জানতে পারে পুলিশ। এই সূত্র ধরে রাত ১টার দিকে খালেদকে তার বাসা থেকে আটক করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরে মুন্নাকে রাত প্রায় ৩টার দিকে বগুড়া সদরের মাটিডালি এলাকা থেকে আটক করা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুর রশিদ আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মুন্না ও খালেদ হত্যার ব্যাপারে স্বীকার করেছেন। তাদের দেওয়া তথ্যমতে, নিহতের বাড়ির পাশের পুকুর পাড়ের ঝোঁপ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রক্তমাখা ছুরি উদ্ধার হয়।
আব্দুর রশিদ বলেন, গ্রেপ্তার আসামিরা আজিজুলের সঙ্গে মাদকসেবন করে বেড়াতেন। আজিজুল বর্তমানে বগুড়া শহরের একটি নিরাময়কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন আছেন। আমাদের প্রাথমিক ধারণা, আজিজুলের সঙ্গে মাদক বা অন্যকোনো দ্বন্দ্ব নিয়ে নারগিছকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নারগিছের মেয়ে বাদী হয়ে মামলা করবেন।
Leave a Reply