গোলাম রব্বানী শিপন, মহাস্থান ব(গুড়া)ঃ বগুড়ার শিবগঞ্জে দাফনের ১৪ দিন পর কবর থেকে নাদিরা (৪৫) নামের ১ গৃহবধূর মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনের জন্য লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে বগুড়া জেলা সহকারী কমিশনার ও বিজ্ঞ এ্যক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আতাহার শাকিল এর উপস্থিতিতে পুলিশ নাদিরার লাশ কবর থেকে উত্তোলন করেন। উত্তোলনকৃত নাদিরার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। গৃহবধূ নাদিরার রহস্যজনক মৃত্যু নিয়ে এলাকাজুড়ে নানা কৌতূহল সৃষ্টি হয়।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার আটমূল ইউনিয়নের আতাহার গ্রামের আয়েজ উদ্দিন এর পুত্র পল্লী চিকিৎসক হেলাল উদ্দিনের সাথে প্রায় ৩০ বছর পূর্বে বিবাহ আবদ্ধ হয় নাদিরার। বৈবাহিক জীবনে তাদের সংসারে ১ ছেলে ও ১ মেয়ে রয়েছে। বেশকিছু দিন পূর্বে থেকে তাদের স্বামী স্ত্রীর মাঝে ঝগড়া বিবাদ হয়ে আসছিল। এ বিষয়ে পল্লী চিকিৎসক হেলাল এর বোন মাঝে মাঝে ফোন দিয়ে নাদিরার পরিবার কে নাদিরার সম্পর্কে অভিযোগ করতো। এরই ধারাবাহিকতায় গত গত ২ ফেব্রুয়ারি নাদিরা ব্রেইন স্ট্রোক করে মারা গেছে মর্মে তার পরিবারকে জানানো হয়। নিহতের স্বামীর পরিবারের দাবি, স্ট্রোক করে নাদিরার মৃত্যু হয়েছে। এবং মৃত্যুর পর দ্রুততার সঙ্গে দাফন সম্পন্ন করে তার পরিবার। এতে সন্দেহ দেখা দেয় স্থানীয়দের মাঝে। নাদিরার দাফন সম্পন্ন করতে তাঁকে গোসল করাতে গিয়ে নাকে ক্ষত ও দু হাত মুষ্টিবদ্ধ দেখতে পেয়ে তাদের আরও সন্দেহ হয়। একপর্যায়ে নাদিরার পরিবার নাদিরার শ্বশুর বাড়ি এলাকায় এসে খোঁজখবর নিলে প্রতিবেশীর মাধ্যমে নাদিরা হত্যার বলি জানতে পারেন। এরপর নাদিরার চাচাতো ভাই ছাইদুর রহমান গত ৭ ফেব্রুয়ারি বগুড়ার সদর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৩ জনকে আসামী করে ভিকটিমের লাশ উত্তোলন ও ময়নাতদন্তের জন্য আবেদন করেন। আদালতের নির্দেশে বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় ময়নাতদন্তের জন্য লাশ উত্তোলন করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, শিবগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনজুরুল আলম, আটমূল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন সহ স্থানীয় এলাকাবাসী।
এঘটনায় সঠিত তদন্তের মাধ্যমে নিহত নাদিরার পরিবার খুনীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান। এদিকে নিহতের লাশ উত্তোলনের সংবাদ পেয়ে সকাল থেকে সেখানে হাজার হাজার নারী পুরুষের ভিড় জমে।
Leave a Reply