সোনাতলা (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়ার সোনাতলা উপজেলায় স্কুল ছাত্রী ধর্ষনের শিকার হয়ে ৪ মাসের কন্যা সন্তান নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। এ ঘটনায় আদালতে মামলা হওয়ায় অভিযুক্ত যুবক পলাতক রয়েছেন।
বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার জোড়গাছা ইউনিয়নের পোড়াপাইকর গ্রামের অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে গতবছরের সালের ৭ জানুযারী বেলা আনুমানিক দেড়টার দিকে পার্শ্ববর্তী অবসরপ্রাপ্ত বিজিবি সদস্য হামিদুল ইসলামের ছেলে শুভ হোসেন বাপ্পীর দোকানে শ্যাম্পু কিনতে যায়। বাপ্পী কৌশলে ওই স্কুল ছাত্রীকে জোড়পুর্বক দোকানের মধ্যে টেনে নেয়। এরপর ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তাকে ধর্ষন করেন। এ ঘটনাটি যেন কাউকে না বলে এজন্য নানা ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। ফলে স্কুল ছাত্রী গর্ভবর্তী হয়ে পড়ে। এতে ওই ছাত্রীর শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন দেখে তার মা তাকে স্থানীয় এক পল্লী চিকিৎসকের কাছে যান। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বগুড়ার একটি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যান এবং আলট্রাসনোগ্রাম করেন। এরপর নিশ্চিত হন স্কুল ছাত্রীর গর্ভবর্তীর বিষয়টি। পরে ওই ছাত্রীর বাবা আদালতে উপস্থিত হয়ে শুভ হোসেন বাপ্পীকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলা দায়ের করেন। এবং আদালত সোনাতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
ছাত্রীর বাবা বলেন, তিনি গরিব কৃষক। তাঁর সঙ্গে কারও শত্রুতা নেই। তাঁর মেয়ের এত বড় ধাক্কা কীভাবে সামলে উঠবে? তিনি দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানিয়ে ক্ষোভে বলেন আমি গরিব কৃষক দেখে আইনের মানুষগুলো অবহেলা করে এখনো অভিযুক্তকে গ্রেফতার করছে না।
এবিষয়ে সোনাতলা থানার ওসি সৈকত হাসান সাথে কথা বললে তিনি জানান, ওই মামলার ডিএনএ ম্যাচিং প্রতিবেদনের মুলতবি আছে। আসামী গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
Leave a Reply