গাবতলী (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়ার গাবতলীতে ববিতা বেগম নামের এক সংরক্ষিত ইউপি সদস্যার দায়েরকৃত মামলা তুলে নিতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় থানা এসআই ত্রিদীপ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
এজাহারসূত্রে জানা গেছে, গাবতলীর সুখানপুকুর ইউনিয়নের পারকাঁকড়া গ্রামের পিন্টু মিয়ার সাথে একই ইউনিয়নের আমতলীপাড়া গ্রামের আ: খালেকের ছেলে ফারুক মিয়ার বন্ধুত্ব সম্পর্ক ছিলো। পিন্টু বগুড়া ফার্নিচারের দোকানে কাজ করতো। বাড়ীতে কেউ না থাকার সুযোগে ফারুক তার বন্ধু পিন্টুর বাড়ীতে যাতায়াত করতো। কিন্তু ফারুকের লোলুপ দৃষ্টি পড়ে যায় বন্ধু পিন্টুর স্ত্রী ২নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের ইউপি সদস্যা ববিতা বেগমের উপর। এরপর ফারুক ববিতাকে কুপ্রস্তাব দেয়। কিন্তু শারীরিক সম্পর্ক করতে অস্বীকার করায় ফারুক ববিতাকে হুমকি দেয়। গত ১৬ফেব্রæয়ারী দুপুরে ভ্যানযোগে যাবার পথে ফারুক ববিতাকে জোরপূর্বক ভ্যান থেকে নামিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে শ্লীনতাহানী ঘটায়। এ ঘটনায় ইউপি সদস্যা ববিতা বাদী হয়ে গত ২৫ফেব্রæয়ারী ফারুককে প্রধান অভিযুক্ত করে থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করে। এরই জের ধরে ফারুকের ছোটভাই পারভেজ (২৩) ধারালো অস্ত্র নিয়ে গত ২৮ফেব্রæয়ারী সন্ধ্যারাতে ববিতার সুখানপুকুরে ভাড়া বাড়ীতে গিয়ে মামলা তুলে নিতে বিভিন্ন হুমকি দেয়। ববিতা তখন সুকৌশলে ঘরের সিটকিনি লাগিয়ে পারভেজকে ঘরে আটকে রেখে স্থানীয় লোকদের ডেকে আনে। কিন্তু ততক্ষণে পারভেজ ঘরের সেলিং ভেঙ্গে দ্রæত পালিয়ে যায়। ইউপি সদস্য ববিতা বিষয়টি ঘটনার রাতেই মডেল থানার ওসিকে জানালে এস.আই ত্রিদীপ কুমার মন্ডল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। বিষয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী থানার এসআই ত্রিদীপ কুমার মন্ডল স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, পারভেজ ওইদিন সংরক্ষিত ইউপি সদস্যা ববিতার বাড়ীতে গিয়েছিল এবং ববিতা তাকে ঘরে আটকে রাখার পরও ঘরের সেলিং ভেঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার সত্যতা পাওয়া গেছে। কিন্তু কি কারণে গিয়েছিল বিষয়টি আরো ক্ষতিয়ে দেখতে হবে। উল্লেখ্য, অভিযুক্ত পারভেজ ২০২২সালের ১০সেপ্টেম্বর সন্ধ্যরাতে সুখানপুকুর ইউনিয়নের ৮নং ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম উজ্জলকে ছুড়িকাঘাত করে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করার ঘটনায় সে ২নং অভিযুক্ত আসামী।
Leave a Reply