সাব্বির হাসান, গাবতলী (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়ার গাবতলীতে এক অসহায় মহিলাকে অমানবিকভাবে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে উপজেলার নশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজ্জাকুল আমিন রোকন তালুকদারের বিরুদ্ধে। নির্যাতিত ওই মহিলা আহত অবস্থায় গাবতলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। চেয়ারম্যানের এ রকম কান্ডে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার নশিপুর ইউনিয়নের বাগবাড়ী গ্রামের শফিকুল ইসলামের সঙ্গে জমিজমা নিয়ে তার ভাগভাগিদের গন্ডগোল চলছিল। বিষয়টি সমাধানের জন্য কিছুদিন আগে ভুক্তভোগী শফিকুল ও তার স্ত্রী কহিনুর বেগম (৫৫) স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রোকন তালুকদারের নিকট যান এবং জমি মাপজোকের জন্য তিন হাজার টাকাও দেন। কিন্তু তারপর বেশ কিছু দিন অতিবাহিত হলে শফিকুলের স্ত্রী কহিনুর গত বুধবার বিকেলে চেয়ারম্যানের কাছে আবারও বিচার চাইতে গেলে চেয়ারম্যান তাকে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করে। তারপর দুই জন লোকের সহায়তায় কহিনুরকে পরিষদের গোডাউন ঘরে নিয়ে গিয়ে অমানবিকভাবে লোহার রড দিয়ে শরীরের বিভিন্নস্থানে বেদমভাবে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করেছে। সেইসাথে বিষয়টি কাউকে জানালে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেন। আহত কহিনুর বর্তমানে গাবতলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এদিকে অসহায় এই মহিলাকে অমানবিকভাবে নির্যাতনের খবর চারদিকে ছড়িয়ে পোড়ায় ছিছিছি রব উঠেছে। সমাজের একাধিক সচেতন মানুষরা বলছেন, যে জনপ্রতিনিধিদের কাছে জনগণের জানমাল রক্ষার দায়িত্ব রয়েছেন অথচ সেই জনপ্রতিনিধির দাঁড়ায় আজ সাধারণ অসহায় জনগণ নির্যাতনের শিকার হতে হচ্ছে। এটা অত্যান্ত দুঃখের এবং লজ্জার। এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চান তারা। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এ ঘটনায় থানায় এজাহার দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল। এ ব্যাপার ইউপি চেয়ারম্যান রোকন তালুকদারের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনি বলেন, আমি কাউকে মারপিট করিনি। এটা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে গাবতলী মডেল থানার ওসি সনাতন চন্দ্র সরকার বলেন, এ সংক্রান্ত কোন অভিযোগ হাতে পাইনি। তবে অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply