মুহাম্মাদ আবু মুসাঃ বগুড়া গাবতলীর দড়িপাড়া জাহের উদ্দিন আদর্শ নি¤œ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ও ৪র্থ শ্রেনীর কর্মচারী (আয়া) নিয়োগে অনিয়ম দূর্নীতি ফাঁস হয়েছে। বিদ্যালয়ের সভাপতি এ সংক্রান্ত স্থানীয় একটি পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিলে সেখানে প্রধান শিক্ষক পদে ১০০/- ও ৪র্থ শ্রেনীর কর্মচারী (আয়া) পদে ৫০/- টাকা রুপালী ব্যাংক লিঃ সাবেকপাড়া শাখা, পীরগাছা, বগুড়া হিসাব নং ৯৬৪০ অনুকুলে ব্যাংক ড্রাফ্ট/পে-অর্ডার চাওয়া হয়। ওই বিদ্যালয় বিষয়ে আদালতে একাধিক মামলা হলে সেখানে বিদ্যালয়ের পক্ষে বহু কাগজপত্র আদালতে দাখিল করা হয়। আর তাদের দাখিলকৃত কাগজপত্রে দড়িপাড়া জাহের উদ্দিন আদর্শ নি¤œ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ও ৪র্থ শ্রেনীর কর্মচারী (আয়া) নিয়োগে অনিয়ম দূর্নীতি ফাঁস হয়ে যায়। কারন ওই দুই পদে নিয়োগের জন্য ২০০৩ সালের ৭অক্টোবর স্থানীয় একটি পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। সেখানে যে ব্যাংক হিসাব নং দেয়া হয়েছে (৯৬৪০) তৎকালিন সময় ওই ব্যাংকের এই হিসাব নাম্বারের কোন অস্তিত্ব নেই। তবে ১১মাস পর অর্থাৎ ২০০৪ সালের ২সেপ্টেম্বর ওই ব্যাংকে হিসাব নাম্বার (রুপালী ব্যাংক লিঃ সাবেকপাড়া শাখা, হিসাব নং ৯৬৪০) খোলা হয় বলে সংশ্লিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে। এ ব্যাপারে রুপালী ব্যাংক লিঃ সাবেকপাড়া শাখার বর্তমান ব্যবস্থাপক বিপ্লব কুমার সাহা’র সাথে কথা বললে তিনি বিগত ২সেপ্টেম্বর/২০০৪ দড়িপাড়া জাহের উদ্দিন আদর্শ নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নামে ৯৬৪০ নং হিসাব খোলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ ছাড়া চলতি বছরের ২মার্চ ওই ব্যাংকের অফিসার আব্দুল খালেক স্বাক্ষরিত ওই হিসাবের একটি প্রতিবেদন দিলে তা ফিরিস্তি আকারে আদালতে দাখিল করা হয়েছে। এ ভাবেই নানা অনিয়ম দূর্নীতির মাধ্যমে ওই সময় প্রধান শিক্ষক কামরুল ইসলাম ও ৪র্থ শ্রেনীর কর্মচারী (আয়া) রওশনারা বেগমসহ আরো অন্যান্যদেরকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে বলে মামলার বাদী পক্ষ ছাড়াও অনেকে জানান। তবে বাদী পক্ষ আরো জানান, সার্বিক বিষয় গুলো সঠিকভাবে তদন্ত বা যাচাই বাচাই করলেই থলের বিড়াল বের হয়ে আসবে। এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জাকির হোসেন বলেন, ওই সময় মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের কোন কার্যক্রম ছিল না। তাছাড়া ওই বিদ্যালয়ের কিছু বিষয় নিয়ে আদালতে মামলা রয়েছে। ফলে আদালত থেকে সঠিক ফয়লা হবে। জেলা শিক্ষা অফিসার হজরত আলী জানিয়েছেন, যে কোন অনিয়ম দূর্নীতি মেনে নেয়ার মত নয়, বিষয়টি যে হেতু আদালতে মামলা রয়েছে, তা আদালতই সঠিক সিদ্ধান্ত দেবে। ওই বিদ্যালয়ের সাবেক সদস্য সচিব আবু আছাদ জানান, দড়িপাড়া জাহের উদ্দিন আদর্শ নি¤œ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে নানা অনিয়ম দূর্নীতিতে জর্জরিত রয়েছে। সকল অনিয়মের তথ্য ফিরিস্তি আকারে আমি মামলার বাদী পক্ষের স্বাক্ষী হিসেবে আদালতে দাখিল করেছি। এ বিষয়ে বাদী পক্ষের মামলা পরিচালনাকারী এ্যাডঃ আব্দুর রহমান খান এর সাথে কথা বলার জন্য তার ব্যবহারিত মোবাইল ফোনে একাধিকবার রিং দিলে ফোনটি রিসিফ না করলে তার সহকারী (মহুরী) আব্দুল জলিল এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, এ সংক্রান্ত মামলাটি আমরাই পরিচালনা করছি এবং সকল ডুকমেন্ট ফিরিস্তি আকারে আদালতে দাখিল করা আছে। এ ব্যাপারে ওই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে তথা কথিত প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাওয়া কামরুল ইসলাম এর সাথে কথা বলার জন্য তার ব্যবহারিত মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্ঠা করা হলে তিনি ফোনটি রিসিফ করেননি।
Leave a Reply