1. sonatalasangbad@gmail.com : সোনাতলা সংবাদ :
বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৩৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :

বগুড়ার মহাস্থানহাটে জৈষ্ঠ্যের মধুমাসে রসালো ফলের মিষ্টি সুগন্ধে ভরপুর

  • রবিবার, ৪ জুন, ২০২৩
  • ১৭১

গোলাম রব্বানী শিপনঃ বৈশাখ মাসের পরই মধুমাস জৈষ্ঠ্যে’র আগামন ঘটে। বেশ কয়েক দিন হলো প্রচণ্ড খরতাপে প্রাণীকুলের নাভিশ্বাস অবস্থা। তারপরও ফলের সমাহার নিয়ে জ্যৈষ্ঠের আছে বাহারি রূপ, রস ও সুগন্ধ। এ সময়ে বিশেষ করে আম, জাম, লিচু, কাঁঠাল, বাঙ্গি, লটকট কালো জামসহ প্রায় সব ধরনের মৌসুমি ফল পাকতে শুরু করে।
সুস্বাদু ফলের অধিক সরবরাহ থাকায় বাঙালিদের অত্যন্ত প্রিয় মধুমাস নামেই এ মাসটি পরিচিত। বছর জুড়ে কমবেশি সব ফল পাওয়া গেলেও সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় এ জ্যষ্ঠমাসে। তাই এবারও বিভিন্ন রসালো ফলের পশরায় ভরপুর বগুড়ার মহাস্থানহাট।
গতকাল শনিবার দুপুরে, মহাস্থান ফল বাজার ঘুরে দেখা যায়, আম, জাম, লিচু, কাঁঠাল, জামরুল, কালোজাম, আনারস ছাড়াও এ মাসে মিলছে বাঁধা খেজুর, লটকট, পেয়ারা, তালের শাঁস, সহ রসালো সব ফল।
মহাস্থান ফলবাজারে গ্রীষ্মকালীন মৌসুমী ফলের দীর্ঘ শাড়ি চোখে পড়ার মত। এছাড়াও দেখা গেছে, মৌসুম শেষ হওয়ায় বিদায়ের পথে থাকা বেল, বাঙ্গি ও তরমুজ। মহাস্থান বাজার জুড়ে এসব ফলের মিষ্টি সুগন্ধের সুবাস ছড়াচ্ছে। গ্রীষ্মকালীন মৌসুমী ফলের মধ্যে বর্তমানে বাজারে ক্রেতাদের চাহিদার শীর্ষে রয়েছে লিচু কালো জাম। স্থায়ী- অস্থায়ী ভাবে অনেকেই ফলের দোকান বসিয়ে বিক্রি করলেও কেউ কেউ আবার ভ্যানে করে মৌসুমী ফল বিক্রি করছে।
বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করেন ফল বিক্রেতারা। অনেকেই সড়কের পাশে কেউ বা মূলদোকানের সামনের অংশে মৌসুমী ফল রেখে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছেন। এ বাজারে বেশি বিক্রি হচ্ছে আম আর লিচু। ব্যবসায়ীদের প্রত্যাশা, আগামী সপ্তাহের মধ্যেই ফল বাজারের বেশির ভাগ অংশ থাকবে মিষ্টি ও রসালো আমের দখলে। মহাস্থান ফুটওভার ব্রীজের নিচে, বাসস্ট্যান্ড, ত্রীমোহনী ও মৎস্য বাজারের পাশে ফলবাজার এলাকায় বিক্রি হচ্ছে জৈষ্ঠ্যের রসালো এ ফল। মহাস্থান ফল ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বাজারে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে লিচু। প্রকার ভেদে প্রতি ১শ’ পিস লিচু বিক্রি হচ্ছে ২থেকে ৩শ’ টাকায়। সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে কালো জাম, প্রতি কেজি জাম ২৪০ টাকা, আম ৫০ টাকা কেজি, তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৫০টাকা কেজি, আনারস ৫০ টাকা কেজি, বাঙ্গি প্রকার ভেদে ৫০ থেকে ১০০ টাকা, লটকট ১২০ টাকা কেজি। প্রখোর রোদ ও অসহনীয় গরমে ফল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এসব ফল তাজা রাখা দায় হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ী।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

নিউজে সর্বশেষ

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট