গাবতলী (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়ার গাবতলীতে খয়রাতি (ভিজিএফ) এবং ভিজিডি (ভিডাব্লিউবি) এর চাল আত্মসাৎ করার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে দূর্গাহাটা ইউপি চেয়ারম্যান শাহীদুল কবীর টনির বিরুদ্ধে। এমন ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে ইউনিয়নবাসী।
জানা গেছে, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে দূর্গাহাটা ইউনিয়নে ২৬শত দশজন গরীব মানুষকে জনপ্রতি দশ কেজি করে বিতরণের জন্য সরকারীভাবে ২৬মেঃ টন ১শত কেজি চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। তিনি ২৫জুন সরকারি গোডাউন থেকে চালগুলো উত্তোলন করেন। ২৭জুন কিছু চাল বিতরণ করে এবং অর্ধেক চাল বিতরণ না করে আত্মসাৎ করার জন্য তিনি ইউনিয়ন পরিষদের দুটি কক্ষে রেখে লোদেয়। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ২৯জুন ইউএনও মোঃ আফতাবুজ্জামান আল-ইমরান এর নির্দেশে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদুল হাসান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে দুটি কক্ষে রাখা ৪শত ৭৩বস্তা চাল জব্দ করে রেখেছেন। এরমধ্যে ভিজিএফ এর চাল রয়েছে ২২৮বস্তা এবং ভিজিডির চাল রয়েছে ২৪৫বস্তা। প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত চালগুলো বিতরণ না করায় ঈদের আনন্দ উৎযাপন থেকে বঞ্চিত হয়েছে প্রায় সাড়ে বারোশত মানুষ। বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে ইউনিয়নবাসী বলেন, চেয়ারম্যান নিজে এই চালগুলো আত্মসাৎ করার জন্যই গরীবদের মাঝে বিতরণ করেননি। এতে করে একদিকে যেমন প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্য ব্যহৃত হয়েছে অপরদিকে এই উপহারের চাল থেকে বঞ্চিত হয়েছে দুস্থ পরিবারগুলো। তারা চেয়ারম্যানের এমন কর্মকান্ডকে ধিক্কার দিয়েছেন। সেইসাথে আগামীতে এ ধরনের মানুষকে জনপ্রতিনিধির চেয়ারে না বসানোর আহবান জানিয়েছেন ইউনিয়নবাসীকে। এছাড়াও সরকারি এই বিতরণে দায়িত্ব প্রাপ্ত ট্যাগ অফিসারকে দুষছেন ইউনিয়নের সচেতন নাগরিকবৃন্দ। তারা বলছেন-ট্যাগ অফিসার তার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন না করায় এমন সুযোগ নিয়েছেন চেয়ারম্যান।
এ বিষয়ে ওই ইউনিয়নের দায়িত্ব প্রাপ্ত ট্যাগ অফিসার উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, চেয়ারম্যান স্লিপ বিতরণ করার পরও কিছু মানুষ চাল নিতে আসেনি। এজন্য চালগুলো অবিতরণ রয়ে গেছে। বিষয়টি এখন ইউএনও মহোদয় দেখবেন।
এব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান শাহীদুল কবীর টনি বলেন, চাল বিতরণের জন্য আগেই স্লিপ দেয়া হয়েছে। কিন্তু তারা ওইদিন চাল নিতে আসেনি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফতাবুজ্জামান আল-ইমরান ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম বলেন, চাল এবং চাল বিতরণের মাষ্টার রোল জব্দ করা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তে চাল আত্মসাৎ করার চেষ্টার সত্যতা পাওয়া গেলে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply