আব্দুর রাজ্জাক, সোনাতলাঃ বগুড়ার সোনাতলা উপজেলায় শ্বশুর বাড়িতে প্রকাশ্যে গাঁজা সেবনে বাধা দেওয়ায় ছোট বোন জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে সমন্দি (স্ত্রীর বড়ভাই) খুন হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল সোমবার (১৭জুলাই) রাত ১০টার দিকে উপজেলার জোড়গাছা ইউনিয়নের ভেলুরপাড়া গ্রামে। বোন জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে খুন হওয়া যুবকের নাম আপেল খন্দকার (৩৮)। সে ভেলুরপাড়া গ্রামের দুদু খন্দকারের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, ওই গ্রামের দুদু খন্দকারের মেয়ের সাথে বগুড়া সদর উপজেলার ফুলবাড়ি এলাকার চান মিঞার ছেলে শাকিল মিয়া (৩৫) এর বিয়ে হয়। এরপর দীর্ঘদিন ধরে বোন জামাই শ্বশুর বাড়িতে বসবাস করছে। প্রায় দিনই বোন জামাই শাকিল মিয়া শ্বশুর বাড়িতে অন্যান্য গাঁজা সেবীদের এনে আসর বসাতো। এতে শ্বশুর বাড়ির অন্যান্য সদস্যদের মাঝে অশান্তি চলে আসছে। গতকাল সোমবার রাত ১০ টার দিকে আপেল খন্দকার (স্ত্রীর বড়ভাই) রাতে খাবার শেষে বাড়ির পাশে রাস্তায় বসে ছিল। এসময় একই এলাকার আমজাদ হোসেনের ছেলে শাওন মিয়া মাদক সেবনের জন্য শাকিলের সাথে দেখা করতে বাড়িতে যাওয়ার সময় আপেল খন্দকার তাকে নিষেধ করে। এবিষয় নিয়ে আপেল খন্দকার বাড়িতে ফিরলে বোন জামাই শাকিল তার সাথে তর্কে জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে বাড়িতে প্রকাশ্যে বোন জামাই শাকিলকে গাঁজা সেবনে নিষেধ করলে শাকিল ক্ষিপ্ত হয়ে গাঁজা কাটার কাজে ব্যবহৃত ধারালো ছুড়ি দিয়ে আপেল মিয়ার বুকে আঘাত করে। এসময় সে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সোনাতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে। ঘটনার পর থেকে বোন জামাই শাকিল পলাতক রয়েছে।
এবিষয়ে সোনাতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈকত হাসান বলেন , ঘটনার পর থেকেই শাকিল পলাতক থাকায় তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি। শাকিলকে আটক করার জন্য আমাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে। এঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি জানান।
Leave a Reply