স্টাফ রিপোর্টরঃ বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার সৈয়দ আহম্মদ কলেজ স্টেশন এলাকার গৃহবধু শিউলী বেগম একজন গর্ভবর্তী মহিলা। দ্বিতীয় বারের মতো মা হবে সে। তার স্বামী ঢাকায় একটি কোম্পানীতে চাকুরী করে। গত রবিবার রাতে তার প্রসব ব্যাথা ওঠে। এরপর তাকে সৈয়দ আহম্মদ কলেজ বটতলায় সোনালী হাসি কমিউনিটি হাসপাতাল ও ফাতেমা ডায়াগনস্টিকে নিয়ে যায়।
ওই গর্ভবতী মহিলার বড় বোন সোনাতলা সংবাদকে বলেন, রাত ১২টায় বটতলায় সোনালী হাসি কমিউনিটি হাসপাতাল ও ফাতেমা ডায়াগনস্টিকে নিয়ে ভর্তি করি। এরপর তার শরীরে স্যালাইন পুশ করা হয়। প্রায় ২ঘন্টা ধরে নরমাল ডেলিভারীর জন্য টানা হেচরা করে না পেয়ে রাত আড়াইটার দিকে ওই গর্ভবর্তী মহিলাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলে। এরপর সিএনজি যোগে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা ৫কেজী ওজনের মৃত ছেলে বাচ্ছা প্রসব করান। এসময় চিকিৎসকরা জানান, বেশি টানা হেচরা করার কারনে বাচ্চাটি আগেই মারা গেছে।
তার বড় বোন আরও জানান, বটতলায় সোনালী হাসি কমিউনিটি হাসপাতাল ও ফাতেমা ডায়াগনস্টিকে দক্ষ কোনও নার্স নাই। নরমাল ডেলিভারীর সময় কক্ষে পুরুষরাও ঢোকে।
ওই গর্ভবতীর মা সোনাতলা সংবাদকে বলেন, বাচ্চা মাচ্চা মারা যাওয়ার কারনে জামাই আর যোগাযোগ করছেনা। তাদের পরিবারে অনেক অশান্তি সৃষ্টি হয়েছে। তিনি ওই ক্লিনিক বন্ধের দাবী জানান।
এবিষয়ে সোনালী হাসি কমিউনিটি হাসপাতাল ও ফাতেমা ডায়াগনস্টিকের নির্বাহী পরিচালক হুমায়ন কবির ইমরান বলেন, ওই রুগীর রক্তের গ্রুপ কি তা সে জানেনা। পরে পরীক্ষা করে যখন বি নেগেটিভ বলে জানতে পারছি তখন ওই গ্রুপের রক্ত পাওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ থাকায় আধাঘন্টার মধ্যে মেডিকেলে রেফার করেছি।
উল্লেখ্য, ওই ক্লিনিকে বিভিন্ন ধরনের অপ চিকিৎসার অভিযোগ রয়েছে। গত বছরের ২০ জুলাই সোনালী হাসি কমিউনিটি হাসপাতাল ও ফাতেমা ডায়াগনস্টিকে সিজার অপারেশন করাতে গিয়ে শিমু বেগম (২৫) নামের এক মায়ের মৃত্যু হয়েছে। সে গাবতলী উপজেলার কদমতলী এলাকার মোহাম্মাদ আলীর মেয়ে। এছাড়া ভুল চিকিৎসার শিকার হন বটতলা এলাকার ফারুক হোসেন মুকুল। এর প্রতিবাদে গত বছরের ২৯ জুন সচেতন এলাকাবাসি ও জাগরণ রক্তদান সংঘ এর উদ্যোগে এই মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়।
৪পর্বের ধারাবাহিক প্রতিবেদনের প্রথম পর্ব প্রকাশিত হলো।
Leave a Reply