আব্দুর রাজ্জাক, সোনাতলাঃ বগুড়ার সোনাতলায় রেজিষ্টিকৃত ও এগ্রিমেন্ট নেওয়া জমি ফেরৎ পেতে বিভিন্ন জায়গা ধরনা ধরে ব্যর্থ হয়েছেন দিনমজুর কাঠু বেপারী। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সদর ইউনিয়নের নামাজ খালী গ্রামে।
কাঠু বেপারী সরকারি আশ্রয়ন প্রকল্পের একটি ঘরে বসবাস করেন। বয়সের ভারে তেমন কিছু করতে পারে না। অন্যের জমিতে দিন মজুরের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। ১৯৯৯ সালে একটি জমি ক্রয় করে এবং কিছু জমি এগ্রিমেন্ট নেয়। সেই থেকে জোরপূর্বক জবর দখল করে আসছে একটি মহল। থানা পুলিশের সহযোগিতায় চেয়েও লাভ হয়নি দিন মজুর কাঠু বেপারীর।
গত দুমাস আগে আবারও নামাজখালী গ্রামের মৃত হাসু বেপারীর ছেলে কাঠু বেপারী বাদী হয়ে ৬ জনকে অভিযুক্ত করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্তরা হলেন নামাজখালী গ্রামের মোকলেছুর রহমানের ছেলে শামিম সরকার, মামুন সরকার, মোন্তেজার রহমান সরকারের ছেলে মাহবুবুর রহমান, আলতা হোসেন , আলতা সরকারের স্ত্রী রওশন আরা বেগম রফি সরকারের ছেলে রাজু মিয়া ও দুলু সরকারের ছেলে মতিন সরকার।
অভিযোগে কাঠু বেপারী উল্লেখ করেন, বিগত ১৯৯৯ সালে ০৮ শতাংশ জমি ২৭৬৫ নং রেজিষ্ট্রি কবলা দলিল করিয়া দেয় ৩০ মে ২০০২ইং তারিখে। এবং রফি সরকারের ছেলে রাজু মিয়া ৪ অক্টোবর ২০২২ সালে নিম্ন বর্ণিত তফসিল সম্পত্তির ক্রয়কৃত সম্পত্তি সংলগ্ন আরও ১২ শতক সম্পত্তি কাঠু বেপারীকে এগ্রিমেন্ট দেয়। বর্তমানে উক্ত সম্পত্তি প্রতিপক্ষরা গণ জবরদখল করে কাঠু বেপারীকে জমি হতে বিতারিত করে দেয়। কাঠু বেপারী সহজ সরল অসহায় ব্যাক্তি টাকা হাতিয়ে নিয়ে জমি রেজিষ্ট্রি করে দিয়ে এবং জমি এগ্রিমেন্ট রেখে দিয়ে তার টাকা আত্মসাৎ করার পাঁয়তারা সহ জবর দখলের চেষ্টা চলছে।
তার মতো অসহায় ব্যাক্তির উপর এধরনের কর্মকান্ডের শাস্তির দাবিসহ রেজিষ্টিকৃত জমি ও এগ্রিমেন্টের জমি ফেরৎ পেতে আইনগত সহায়তা চান কাঠু বেপারী।
এঘটনায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন থানার এএসআই আব্দুল কাদের তিনি বলেন যেহেতু জমির ঘটনা সেক্ষেত্রে তাদেরকে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।
Leave a Reply