মুনসুর রহমান তানসেন কাহালু (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়া-৪ কাহালু-নন্দীগ্রাম আসনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগের মনোয়ন পেয়ে নৌকার মাঝি হলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র আলহাজ্ব মোঃ হেলাল উদ্দিন কবিরাজ। দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার খবর পাওয়ার সাথে সাথে কর্মী-সমর্থকরা আতশবাজি ফুটিয়েছে। সন্ধ্যার পর কাহালু উপজেলা আওয়ামীলীগসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা সন্ধ্যায় আনন্দ মিছিল করেছে। মিছিলটি উপজেলার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে দলীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
আলহাজ্ব মোঃ হেলাল উদ্দিন কবিরাজ বর্তমানে কাহালু উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি পদে রয়েছেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট্র ঘাতকের বুলেটে বঙ্গবন্ধু স্বপরিবারে নিহত হওয়ার পর দুঃসময়ে আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়েন। সামরিক সরকারের রক্তচক্ষু অপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কথা মানুষের মাঝে তুলে ধরেছেন।
১৯৮৫ সালে আওয়ামীলীগের সম্মেলনে সাংগঠনিক সম্পদক পদ থেকে তিনি প্রথম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালের সম্মেলনেও তিনি সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০০৪ সালের সম্মেলনে সভাপতি নির্বাতি হয়ে পর পর কয়েক বার সভাপতি নির্বাচিত হয়ে এখন পর্যন্ত নিষ্ঠার সাথে তিনি দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন বিশ্বাসী সংগঠক হিসেবে বিএনপি-জামায়াত অধ্যষিত এলাকা কাহালু পৌরসভার পর পর দু-বার মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন। মেয়র থাকা অবস্থায় তিনি রাস্তাঘাট, ড্রেন নির্মাণ, পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধু মুর্যাল নির্মাণ, কয়েকটি মঞ্চ নির্মাণসহ পৌর এলাকাকে নান্দনিক করতে অভ’তপূর্ণ উন্নয়ণ করেছেন।
বিএনপি-জামায়াত অধ্যষিত এই এলাকায় তিনি আওয়ামীলীগের রাজনীতি করতে গিয়ে বিভিন্ন সরকারের আমলে নানাভাবে নির্যাতিত হয়েছেন। তিনিসহ তার পরিবারের অনেকে রাজরৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে মামলা-মোকর্দ্দমার আসামী হয়েছেন অনেকবারে। তার বাড়িঘর ও ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানেও হামলাÑভাংচুর করেছে বিরোধী পক্ষরা। তার মনোয়ন পাওয়ার পর অনেকে মন্তব্য করেছেন তাকে দলীয় মনোনয়ন দিয়ে সঠিক মুল্যায়ণ করা হয়েছে।
এছাড়াও আগের সংসদ নির্বাচন গুলোতে কাহালু উপজেলা থেকে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ণ কেউ পায়নি। এই প্রথম কাহালু উপজেলা থেকে আলহাজ্ব মোঃ হেলাল উদ্দিন কবিরাজকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ায় দলীয় নেতাকর্মীর পাশাপাশি সাধারণ মানুষও অনেক আনন্দ প্রকাশ করেছেন।
Leave a Reply