স্টাফ রিপোর্টারঃ বগুড়ার সোনাতলায় সীমানা নির্ধারনের জের ধরে চাচার কাঁচির চোটে ভাতিজা শহীদ (১৬)’র চোখ উপরে গুরুত্বর আহত হয়। স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। ১২ আগষ্ট সোমবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৬দিন পর তার মৃত্যু হয়। এঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার(৬ আগস্ট) সকালে উপজেলার দিগদাইড় ইউনিয়নের লোহাগাড়া গ্রামে।
এলাকা সুত্রে জানাযায় , লোহাগাড়া গ্রামের আব্দুস সামাদের ৩ ছেলে ছয়ফুল ,শহিদুল ইসলাম (৩৫) ও শরিফুল ইসলাম। তাদের মধ্যে বাড়ির প্রবেশ পথ (সীমানা) নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে বিবাদে চলে আসছিল। গত ৬ আগষ্ট সকালে শরিফুল ইসলাম বাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু করে। ছয়ফুল ইসলাম বাড়িতে না থাকার সুবাদে ছেলে শহীদ বাড়ির ওয়াল সরে নির্মাণ করতে বলে।
এতে চাচা শহিদুল ও শরিফুলের সাথে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে মারপিটের ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে চাচা শহিদুলের দেশীয় অস্ত্র (বেকি) চোটে ভাতিজার চোখ উপরে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভাতিজা শহীদের মৃত্যু হয়। এরপর থেকে চাচা পলাতক রয়েছে।
এ বিষয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ বাবু কুমার সাহা মৃত্যু র বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি অবগত আছি তবে এখনও থানায় কেহ মামলা দিতে আসেনি। তারা মামলা দিলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
খুবই মর্মান্তিক