1. sonatalasangbad@gmail.com : সোনাতলা সংবাদ :
শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ১০:০১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বগুড়ার শিবগঞ্জে পুত্রবধূকে ধষর্ণের অভিযোগে শ্বশুর গ্রেপ্তার সোনাতলায় জামায়াতের সংসদীয় আসনের নির্বাচনী বৈঠক অনুষ্ঠিত সোনাতলায় অগ্নীকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ভ্যান চালককে গরু দিলেন ইউপি চেয়ারম্যান টুল্লু সোনাতলায় নাম্বার বিহীন ট্রাকের যন্ত্রাংশ আলাদা করার সময় দুইজন আটক বগুড়ায় ধান কেটে মজুরি না পাওয়ায় ৫ দিনমজুরের থানায় অভিযোগ গাবতলীর বাগবাড়ীতে শহীদ জিয়া কলেজ সরকারীকরণের দাবীতে লিফলেট বিতরণ কাহালুতে আওয়ামীলীগ নেতা গ্রেফতার কাহালুতে দুই ব্যবসায়ীকে ৮৫ হাজার টাকা জরিমানা বগুড়ায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সুরক্ষা শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত সোনাতলায় ১০২ মুক্তিযোদ্ধাকে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের চিঠি

হালের গরুর না থাকায় স্বামী-স্ত্রীর হালচাষ!

  • বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
  • ১৩৩

বায়েজিদ, গাইবান্ধাঃ গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার পবনাপুর গ্রামের মাঠে চোখে পড়ে নেপেন ও সুভাষিণী দম্পতির মই দিয়ে হাল চায়ের দৃশ্য। অর্থাভাবে যখন গরু দিয়ে হালচাষ করা দায়, তখন স্ত্রী সুভাষিণীর সহযোগিতায় মই দিয়ে নিজেরাই করছেন হাল চাষ।
তারা কখনও অন্যের জমিতে বর্গাচাষ, কখনও খালে-বিলে মাছ ধরে চলে জীবিকা। সাত সদস্যের পরিবারের ভরণপোষণের দায়ভার চল্লিশ বছরের নেপেনের। এ কাজে পালাক্রমে একজন গরু ও অপরজন চাষির ভুমিকা পালন করতে দেখা গিয়েছে।
অন্যের জমি বর্গাচাষের পাশাপাশি খালে-বিলে মাছ ধরে বাজারে বিক্রি করে যা মেলে তাই দিয়ে মেটাতে হয় সংসারের মৌলিক চাহিদা।
মাঠে ইরি ভ্রম মৌসুমে যেখানে আদরি পিসি চন্দ্রের সাহায্যে জমির তৈরি ব্যস্ত পার করছে কৃষকেরা সেখানে ব্যতিক্রম শুধু নেপেন-সুভাসিনী দম্পতি। তীব্র ঠান্ডা অপেক্ষা করে পানিতে ভিজে জমি সমান করতে শরীরের সবটুকু শক্তি দিয়ে হালচাষ করছেন তারা। বাশের তৈরি মইয়ের দু’পাশে দড়ি বেধে দু’হাতে মই টানছেন গরুর ভূমিকায়। আর এতেই কাদাজলে ভেজা উচু নিচু জমি সমান হয়ে চাষের উপযোগী হয়ে উঠছে।
তারা জানান, তাদের নিজেদের কোনো জমি নেই। প্রায় এক বিঘা জমি বর্গা নিয়ে চাষাবাদ করেন তারা। আজ দশ শতক জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষের জন্য মই দিচ্ছেন। বর্গা নেওয়া জমি থেকে যে পরিমাণ ধান উৎপাদন হয় তার অর্ধেক পান জমির মালিক। বাকি ধান দিয়ে সারা বছরের ভাতের যোগান মেটাতে হয়। তাই উৎপাদন খরচ কমাতে টাকা দিয়ে গরুর হাল না কিনে নিজেরাই জমিতে মই দিচ্ছেন।
তারা আরও বলেন, তাদের পাঁচ সন্তানের মধ্যে বড় ছেলে মাধব এসএসসি পাশ করেছে। ছোট ছেলে নিখিল, মেয়ে লক্ষ্মী ও প্রতিমা হাইস্কুলে পড়াশুনা করছে। এছাড়া অর্জুন নামে কোলের এক সন্তান রয়েছে তাদের।
পবনাপুর এক নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি চান মিয়া বলেন, নেপেন-সুভাসিনি দম্পতি আমার প্রতিবেশী। তারা জেলে পরিবারের সদস্য। সমাজে টিকে থাকার জন্য তারা লড়াই করে চলেছেন।
পবনাপুর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ জহুরুল ইসলাম বলেন, জমিতে পানি এবং হাল চাষের পর মাটি সমান করতে মই দেওয়া হয়ে থাকে। সাধারণত এ কাজটি গরু দিয়ে করা হয়ে থাকে। কিন্তু নেপেন-সুভাসিনি দম্পতি আর্থিক সংকটের কারণে নিজেই এ কাজটি করতে বাধ্য হচ্ছেন।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

নিউজে সর্বশেষ

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট